২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স: ভালোবাসার মানুষের সাথে ঘর বাঁধার জন্য প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন স্কুলশিক্ষক আল শাহারিয়ার রোকন (৩৫)। তবুও নিজের মনকে বেঁধে রাখতে পারেননি তিনি।
নিজের ছাত্রীকে ছয়দিন ধরে উধাও রয়েছেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার এই স্কুলশিক্ষক। ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের সন্ধান পায়নি পুলিশ। ছাত্রীকে নিয়ে পালানোর খবর জানাজানি হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করেছে। আর স্বামীর শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী।
অভিযুক্ত আল শাহারিয়ার রোকন পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক।স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু বক্কর বলেন, সোমবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর কোনো সন্ধান মেলেনি।
পুলিশের পাশাপাশি তাদেরকে উভয়ের পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করছেন। ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করার জন্য আল শাহারিয়ার রোকন প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে রোকন প্রতিনিয়ত আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছেন। তার সকল নির্যাতন এত দিন মুখ বুঝে মেনে নিয়েছিলাম। অথচ সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।’
নাজনীন আক্তার সুমি স্বামী রোকনের বিরুদ্ধে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। দুই একদিনে মধ্যে আদালতে মামলা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
পুঠিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আক্তার জাহান শিক্ষক আল শাহারিয়ার রোকনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার তরে জানান, ওই শিক্ষক কয়েক দিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
লোকমুখে শুনেছি তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। ঘটনার দিন থেকে তার ফোন নম্বর বন্ধ রয়েছে। এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষকের স্ত্রী তার স্বামীর শাস্তির দাবিতে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ওই স্কুলশিক্ষক ও ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছি। আশা করা যায়, অল্প সময়ের মধ্যে তাদের খোঁজ পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন বিকেলে ঝলমলিয়া হাই স্কুলের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক আল শাহারিয়ার রোকন ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৬) নিয়ে উধাও হন। এ ঘটনায় ওই রাতেই ছাত্রীর বাবা পুঠিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।